ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ , ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সংস্কার কাজ পরবর্তী সরকারের জন্য ইতিবাচক পদচিহ্ন হবে: অর্থ উপদেষ্টা সরকারি চাকরিতে ২০ হাজার নতুন নিয়োগ আসছে, ঘোষণা দুপুরে দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে নতুন প্রেস মিনিস্টার ‘মাফ করে দিয়েন ওস্তাদ আমাদের শেষ দেখা হলো না’ যাত্রা শুরু করল বোটানি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রাজধানীর জাপান গার্ডেন সিটিতে ৩ কুকুরের মৃত্যু, অভিযোগ বিষ দিয়ে হত্যার অভিযোগ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করেছেন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকেরা কুরস্কের ৪০ ভাগ ভূখণ্ড হারিয়েছে ইউক্রেন টটেনহ্যামের কাছে লজ্জার হার ম্যানসিটির মার্কিন ইহুদি তরুণদের ৩৭ শতাংশ হামাস সমর্থক মিনা ফারাহকে ফোন করলেন জামায়াত আমির তাজরীন ট্র্যাজেডির এক যুগ : পুনর্বাসনের দাবি আহতদের বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত ইহুদিদের মধ্যে বাড়ছে হামাসের প্রতি সমর্থন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ৫ প্রশ্নের উত্তর চাইলেন আসিফ আকবর মিরপুরে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, নারী-শিশুসহ দগ্ধ ৭ সাবেক প্রধান বিচারপতির মৃত্যু, আজ সুপ্রিম কোর্টের বিচারকাজ বন্ধ অন্তর্বর্তী সরকারকে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিচ্ছে বিএনপি বিশ্বে বায়ুদূষণের শীর্ষে পাকিস্তানের লাহোর,ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয় মরুর বুকে ঝড় তুললেন জেমস পাঠ্যবইয়ে আসছে একগুচ্ছ পরিবর্তন, স্বাধীনতার ঘোষক হয়ে ফিরছেন জিয়াউর রহমান

তাজরীন ট্র্যাজেডির এক যুগ : পুনর্বাসনের দাবি আহতদের

  • আপলোড সময় : ২৪-১১-২০২৪ ১১:২৮:৫৩ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৪-১১-২০২৪ ১১:২৮:৫৩ পূর্বাহ্ন
তাজরীন ট্র্যাজেডির এক যুগ : পুনর্বাসনের দাবি আহতদের
তাজরীন ট্র্যাজেডির এক যুগ। ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর আগুনে পুড়ে ঢাকার আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুরে তাজরীন ফ্যাশন কারখানার ১১৭ শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এতে আহত হয় আরো অন্তত ২০০ শ্রমিক।দুঃসহ সময়ের স্মৃতি হৃদয় থেকে মুছতে পারেনি অগ্নিকাণ্ডে হতাহত শ্রমিক ও তাদের পরিবার। তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার পুনর্বাসনসহ সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি একযুগেও।দেশের বর্তমান অন্তরর্বর্তী সরকার হতাহতের পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনসহ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে বলেই আশাবাদী ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকরা।তাজরীন ট্র্যাজেডিতে নিহত ও আহতদের পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২৪ নভেম্বর তাদের মনে করিয়ে দেয় স্বজন হারানোর বেদনা। এই দিনে কেউ হারিয়েছে মাকে, বোনকে, বাবাকে কেউ বা আবার হারিয়েছে পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকে। এদিন ডুকরে কেঁদে ওঠে স্বজন হারানো মানুষগুলো। উপার্জনক্ষম মানুষগুলোই এখন তাদের পরিবারের বোঝা, কেউ বা কোনোমতে দোকান দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের জীবনযুদ্ধ। কেউ বা চিকিৎসা করাতেই নামমাত্র ক্ষতিপূরণসহ শেষ করেছেন তাদের সর্বস্ব। আবার অনেকেই বঞ্চিত হয়েছে ক্ষতিপূরণ থেকেও। তারা আজ ১২ বছর ধরে অপেক্ষায় আছে ক্ষতিপূরণের আশায়, প্রহর গুনছেন পুনর্বাসনের।

কথা হয় তাজরীনে আহত নারী শ্রমিক শিল্পী বেগমের সাথে। তিনি আক্ষেপ করে জানান, ঘটনার দিন আগুনের লেলিহান শিখা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে সিঁড়ি দিয়ে তড়িঘড়ি করে নামছিলেন। হঠাৎ নিচে পড়ে যান তিনি। এতে তার দু’হাত-পা ও মাজায় প্রচণ্ড আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরে দীর্ঘ দিন সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পূনর্বাসন কেন্দ্র সিআরপিতে চিকিৎসা নিয়ে বেঁচে ফেরেন। এখনো তার জীবনযুদ্ধ থেমে নেই। জীবিকার তাগিদে চায়ের দোকান চালিয়ে চলছে তার সংসার।তিনি জানান, সরকারসহ বিভিন্ন সংস্থা থেকে সাময়িক কিছু সহায়তা পেলেও পূর্ণাঙ্গ ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন পাননি। বহু পরিবার তাদের উপার্জনক্ষম মানুষ হারিয়ে এখনো বিপদে।আহত আরেক নারী শ্রমিক সবিতা রাণী। তিনি জানান, তিনি তৃতীয়তলায় কাজ করতেন স্যুইং অপারেটর হিসেবে। চিকিৎসা করাতে করাতে এখন তিনি নিঃস্ব। কোনোরকম সংসার চলছে তার। কিছু সহায়তা পেয়েছেন তিনি, যা চিকিৎসা করাতেই শেষ।

তিনি বলেন, ‘বার বার আশ্বাস দিলেও আমাদের ক্ষতিপূরণ ও পূনর্বাসন করা হয়নি।’ক্ষতিপূরণ পেলে তিনি গ্রামে গিয়ে কিছু একটা করে সংসার চালাবেন বলে জানান।মোকাদ্দেছ নামের আরেক আহত শ্রমিক জানান, তিনি ওই কারখানায় স্যুইং অপারেটর ছিলেন। তিনিসহ সকল আহত ও নিহত শ্রমিকদের পুনর্বাসনসহ ক্ষতিপূরণের দাবি তার।এদিকে বিভিন্ন শ্রমিক নেতারা বলছেন, তাজরীনে আগুন লাগার পর কারখানা কর্তৃপক্ষ গেটে তালা লাগিয়ে শতাধিক শ্রমিককে পুড়িয়ে হত্যা করে। এ ঘটনার ১২ বছর পার হলেও দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হয়নি। বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে মালিকপক্ষের অবহেলায় পোশাকশিল্পে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটছে। অবিলম্বে তাজরীনের ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের জন্য ক্ষতিপূরণ নিশ্চিতসহ হাসপাতাল বানিয়ে তাদেরকে পুনর্বাসন করে কর্মসংস্থানের দাবি জানান।

বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অরবিন্দু বেপারী বিন্দু নয়া দিগন্তকে জানান, ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর তাজরীনের অগ্নিকাণ্ড কর্তৃপক্ষ সুপরিকল্পিতভাবে ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় শতাধিক শ্রমিক মারা যায়। আহত হয় আরো অনেকে। বিগত সরকারের আমলে আহত শ্রমিকদের সু-চিকিৎসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, কিন্তু পূরণ করতে পারেনি। বর্তমান সরকার একটা নিরপেক্ষ সরকার। এই সরকারের কাছে আহত ও নিহত শ্রমিকদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের দাবি তার।তাজরীনে অগ্নিকাণ্ডের ১২ বছরে নিহত শ্রমিকদের স্বজন, আহত ব্যক্তি, বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা কারখানার ফটকের সামনে এদিন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন।

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
সংস্কার কাজ পরবর্তী সরকারের জন্য ইতিবাচক পদচিহ্ন হবে: অর্থ উপদেষ্টা

সংস্কার কাজ পরবর্তী সরকারের জন্য ইতিবাচক পদচিহ্ন হবে: অর্থ উপদেষ্টা